শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কোয়াবের নতুন সভাপতি মোহাম্মদ মিঠুন

প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর , ২০২৫
কোয়াবের নতুন সভাপতি মোহাম্মদ মিঠুন

ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) এর কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে সভাপতি পদে বিপুল ভোটের ব্যবধানের বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ক্রিকেটার মোহাম্মদ মিঠুন।

কোয়াবের ১১টি পদে ১০টি পদে একক প্রার্থী থাকায় প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

নির্বাচনে কেবল সভাপতি পদেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। এই পদে লড়াই করেছেন সাবেক ক্রিকেটার ও ম্যাচ রেফারি সেলিম শাহেদ এবং ক্রিকেটার মোহাম্মদ মিঠুন। 

বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ বিকাল পাঁচটায় শেষ হয়। নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, মোহাম্মদ মিঠুন পেয়েছেন ১৫৪ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিম শাহেদ পেয়েছেন মাত্র ৩৪ ভোট। এতে ১২০ ভোটের বিশাল ব্যবধানে কোয়াবের নতুন সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন।

ফুটবলারদের মেন্টাল সাপোর্ট দেওয়া হবে : বাফুফে সভাপতি

প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর , ২০২৫
ফুটবলারদের মেন্টাল সাপোর্ট দেওয়া হবে : বাফুফে সভাপতি

নেপালে থমথম পরিস্থিতির মধ্যে আটকা পড়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল দল। শঙ্কা ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল দেশে ফেরা নিয়ে। সেই অবস্থা থেকে বের হয়ে অবশেষে দেশে ফিরতে পেরেছেন ফুটবলাররা। বাংলাদেশ সরকার, সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর তৎপরতায় আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন জাতীয় দলের ফুটবলাররা। বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে বীর উত্তম এ কে খন্দকার বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করেছে দল।

ঘাঁটিতে নামার পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি তাবিথ আউয়াল। তিনি জানান, ফুটবলারদের মানসিকভাবে সমর্থন দিতে সব ব্যবস্থা নেবে বাফুফে।

তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘আমাদের স্ট্যান্ডার্ড মেডিকেল প্রসিডিউর বলে, এমন একটা অবস্থার পরে আমরা সকল প্লেয়ারদের মেন্টাল কোচিং অথবা সাইকোলজিক্যাল সাপোর্ট দেব। যাদের যাদের লাগে তাদের পাশাপাশি যাদের লাগে না, তাদেরও সাইকোলজিক্যালি ভালো রাখার জন্য ট্রেনিং দেব। এছাড়া অনেক সময় অনেক ফিজিক্যাল ইনজুরিও হয়, যেটা বোঝা যায় না, শকের কারণে, সেই ব্যাপারেও প্রস্তুতি নিয়েছি।’

বিমান বাহিনীর বিশেষ এই ফ্লাইটে ছিল মোট ৫৫ জন। যার মধ্যে খেলোয়াড়, কোচ, টিম অফিসিয়াল ও ডেলিগেট ৩৮ জন, ক্রীড়া সাংবাদিক ১৬ জন ও একজন ছাত্র সমন্বয়ক ছিলেন। সবাইকে নিরাপদে দেশে ফেরত আনায় প্রধান উপদেষ্টা, সেনাপ্রধান ও বিমান বাহিনীর প্রধানকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ দেন তাবিথ আউয়াল।

উগান্ডার কাছে বাংলাদেশ, একটু দূরে আফগানিস্তান

প্রকাশ: শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর , ২০২৫
উগান্ডার কাছে বাংলাদেশ, একটু দূরে আফগানিস্তান

 


শারজায় গতকাল ত্রিদেশীয় সিরিজে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের জন্য শেষ ওভারে ১৭ রান দরকার ছিল আরব আমিরাতের। আফগান পেসার ফরিদ আহমেদ শেষ ওভারে ১২ রানে ১ উইকেট নিয়ে দলের ৪ রানের জয় নিশ্চিত করেন। আগে ব্যাটিং করে ৪ উইকেটে ১৭০ রান তুলেছিল আফগানিস্তান। তাড়া করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৬৬ রানে থামে আরব আমিরাতের ইনিংস। এ জয়ে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় দল হিসেবে এক ভেন্যুতে অন্তত ২০ ম্যাচ জিতল আফগানিস্তান।


প্রথম দলটি বাংলাদেশ। শুধু প্রথম নয়, টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে এক ভেন্যুতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের রেকর্ডও বাংলাদেশের।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ২৪টি টি–টোয়েন্টি জিতেছে বাংলাদেশ। আরব আমিরাতের শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তান জিতল ২০টি টি–টোয়েন্টি। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে এক ভেন্যুতে অন্তত ২০ ম্যাচ জিতেছে শুধু বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৭ জয়ে তিনে পাকিস্তান। চারেও পাকিস্তানই—লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ১৬ ম্যাচ জিতেছে তারা। জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে ১৪ জয় নিয়ে পাঁচে দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রথম আলো গ্রাফিকস

তবে আফগানিস্তান একটি জায়গায় আলাদা। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে প্রথম দল হিসেবে বিদেশের ভেন্যুতে ২০ ম্যাচ জিতল তারা।


শারজায় খেলা ২৯টি টি–টোয়েন্টির মধ্যে ৯টিতে হেরেছে আফগানিস্তান, জিতেছে ২০টি। ঘরের মাঠ শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ৪৮টি টি–টোয়েন্টি খেলে বাংলাদেশ জিতেছে ২৪ ম্যাচ, হেরেছেও ২৪ ম্যাচই। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পাকিস্তান ৩২টি টি–টোয়েন্টি খেলে ১৭ জয় পেয়েছে, হার ১৪টি, টাই হয়েছে ১ ম্যাচ। গাদ্দাফিতে ২৬ ম্যাচে ১৬ জয়ের পাশাপাশি ১০ ম্যাচ হেরেছে পাকিস্তান।

সব মিলিয়ে হিসাব করলে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে এক ভেন্যুতে সবচেয়ে বেশি জয়ের রেকর্ড উগান্ডার। রুয়ান্ডার গাহাঙ্গা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৩৯ ম্যাচে ৩৫ জয় পেয়েছে আফ্রিকার দলটি। ২ ম্যাচ হেরেছে ও ২টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।বাংলাদেশের অবস্থান এরপরই।
প্রথম আলো গ্রাফিকস

গাহাঙ্গা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই ৩৮ ম্যাচে ২২ জয় নিয়ে তিনে তানজানিয়া। ১৩ ম্যাচে হার ও ৩টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয় তানজানিয়ার। বালির উদয়ন ক্রিকেট মাঠে ৪৪ টি–টোয়েন্টিতে ২১ জয় নিয়ে চারে ইন্দোনেশিয়া। ২১ ম্যাচে হারের পাশাপাশি ১টি টাই এবং অন্য ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয় ইন্দোনেশিয়ার। পাঁচে আফগানিস্তান।

এশিয়ান কাপ বাছাই

ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে শনিবার মাঠে নামছে বাংলাদেশ

প্রকাশ: শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর , ২০২৫
ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে শনিবার মাঠে নামছে বাংলাদেশ

এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক ভিয়েতনামের বিপক্ষে হার দিয়ে মিশন শুরু করেছে কিউবা মিচেল-শ্রাবণরা। ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে আগামীকাল শনিবার দ্বিতীয় ম্যাচে ইয়েমেনের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায়।

ভিয়েতনামের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ডিফেন্স লাইন বেশ ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। বিশেষ করে করে ডানপাশের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে আক্রমণ করেছে ভিয়েতনাম। বাংলাদেশ পরাস্তও হয়েছে সেখান দিয়েই। প্রথমার্ধের শুরুতে আর দ্বিতীয়ার্ধের শেষে মোট দুটি গোল হজম করেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ইয়েমেনের বিপক্ষে এই জায়গায় বিশেষ নজর দিতে হবে কোচ সাইফুল বারী টিটুকে। নতুন কৌশল আবিষ্কার করতে হবে তাকে।

প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ায় এই ম্যাচটি বাঁচা-মরার ম্যাচ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের জন্য। এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলতে হলে এই ম্যাচে জয়ের কোনো বিকল্প নেই বাংলাদেশের সামনে। ইয়েমেনকে হারাতে পারলেই সম্ভাবনা বেঁচে থাকবে চার সেরা রানার্সআপের একটি হয়ে এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার।

তবে সেটা মোটেও সহজ হবে না লাল-সবুজ জার্সিধারীদের জন্য। ইয়েমেনের বিপক্ষেও কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে বাংলাদেশকে। শক্তি-ভারে বাংলাদেশের চেয়ে বেশ এগিয়ে ইয়েমেন। ফিফা র‌্যাংকিংয়ে দুই দলের পার্থক্য ২৮, বাংলাদেশ আছে ১৮৪ নম্বরে আর ইয়েমেনের অবস্থান ১৫৬তম।

মুখোমুখি পরিসংখ্যানেও এগিয়ে ইয়েমেন। এর আগে যদিও কখনো অনূর্ধ্ব-২৩ দল মুখোমুখি হয়নি। তবে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ দল হেরেছিল ৩-০ গোলে। আর ২০২২ সালে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের মঞ্চেই ৪-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ দল। ইয়েমেনের বিপক্ষে বাংলাদেশের একমাত্র জয় ১৯৯৪ সালে। সেবার মুখোমুখি হয়েছিল দুই দেশের সিনিয়র দল। বাংলাদেশ সেই ম্যাচে জিতেছিল ১-০ গোলে।

র‌্যাংকিং, পরিসংখ্যানের বাইরেও প্রথম ম্যাচে সিঙ্গাপুরকে ১-০ গোলে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসী ইয়েমেন। তবে বাংলাদেশ দলের ফরোয়ার্ড রাব্বি হোসেন রাহুল বললেন ঘুরে দাঁড়ানোর কথা। তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা পুরো দল অনুশীলন করেছি। আমার যেভাবে চেয়েছিলাম, হয়তো টুর্নামেন্টটা সেভাবে শুরু করতে পারিনি। আগামীকাল ইয়েমেনের সঙ্গে ম্যাচ আছে আমাদের। আশা করি সবাইকে ভালো ফুটবল উপহার দিতে পারব, জয় উপহার দিতে পারব।’

ফাইনাল হারের পর কাণ্ড করে এখন অনুতাপে ভুগছেন সুয়ারেজ

প্রকাশ: শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর , ২০২৫
ফাইনাল হারের পর কাণ্ড করে এখন অনুতাপে ভুগছেন সুয়ারেজ

লিগস কাপ ফাইনালে সিয়াটল সাউন্ডার্সের কাছে হেরেছিল লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজের দল ইন্টার মিয়ামি। সে ম্যাচের পর মেজাজ হারিয়ে এক কর্মীর দিকে থুতু দেওয়ার মতো কাণ্ড করে বসেছিলেন তিনি। সে ঘটনায় এবার ক্ষমা চেয়েছেন সুয়ারেজ। বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রামে তিনি এক বিবৃতিতে দুঃখ প্রকাশ করেন।

৩৮ বছর বয়সী উরুগুইয়ান তারকা লিখেছেন, ‘এটা ছিল অনেক দুশ্চিন্তা আর হতাশার মুহূর্ত। ম্যাচের পর কিছু ঘটনা ঘটে যা ঘটানো উচিত ছিল না। কিন্তু এজন্য আমার প্রতিক্রিয়াকে বৈধতা দেওয়া যায় না। আমি ভুল করেছি এবং আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত।’

লুমেন ফিল্ডে ফাইনালে সাউন্ডার্স ৩-০ গোলে হারায় লিওনেল মেসির দলকে। শেষ বাঁশির পর সুয়ারেজ সাউন্ডার্সের তরুণ মিডফিল্ডার ওবেড ভার্গাসকে হেডলকে ধরে ফেলেন। এতে মাঠে দুই দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ক্যামেরায় ধরা পড়ে, মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সুয়ারেজ সিয়াটলের এক নিরাপত্তা কর্মীর দিকে থুতু ছুড়ে দেন।

সুয়ারেজ বলেন, ‘যা ঘটেছে তার জন্য আমি খুব খারাপ অনুভব করছি। আমি চাইনি সুযোগ হাতছাড়া হোক, তাই সবাইকে জানাতে চাই এবং ক্ষমা চাই যারা আমার কারণে কষ্ট পেয়েছেন।’

তবে সেসব পেছনে ফেলে তিনি এখন সামনের দিকে তাকাচ্ছেন। তার কথা, ‘আমরা জানি মৌসুমের এখনও অনেকটা পথ বাকি। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করব এই ক্লাব এবং এর সমর্থকদের প্রাপ্য সাফল্য এনে দিতে।’

ইন্টার মিয়ামি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানায়, ‘এ ধরনের আচরণ আমাদের খেলাধুলার মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে না। মাঠে ও মাঠের বাইরে আমরা সর্বোচ্চ ক্রীড়াসুলভ মান বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

ঘটনার পর কী শাস্তি হতে পারে তা নিয়ে জল্পনা চলছে। বিতর্কিত ঘটনার জন্য আগে একাধিকবার শাস্তি পেয়েছেন সুয়ারেজ। ২০১৪ বিশ্বকাপে তিনি ইতালির জর্জিও কিয়েলিনিকে কামড় দেওয়ার ঘটনায় চার মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। এছাড়া ক্লাব ফুটবলেও কামড়ের জন্য শাস্তি ভোগ করেছেন তিনি। ২০১১ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের খেলোয়াড় প্যাট্রিস এভরাকে বর্ণবাদী গালি দেওয়ার অভিযোগে ইংল্যান্ডে তাকে আট ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপেও বিতর্কে জড়ান সুয়ারেজ। ঘানার বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে গোললাইন থেকে ইচ্ছাকৃত হাতে বল ঠেকিয়ে দেন তিনি, যা আফ্রিকান দলটির নিশ্চিত জয় কেড়ে নিয়েছিল।

সাকিবের রেকর্ড ভেঙে দিয়ে মাহমুদউল্লাহর রেকর্ড ছুঁলেন লিটন

প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর , ২০২৫
সাকিবের রেকর্ড ভেঙে দিয়ে মাহমুদউল্লাহর রেকর্ড ছুঁলেন লিটন

নেদারল্যান্ডস সিরিজ শেষ। এই সিরিজটা বেশ ভালো কেটেছে বাংলাদেশের। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো কেটেছে লিটন দাসের। তার ব্যাট হাতে পারফর্ম্যান্সই বাংলাদেশকে দিয়েছে জয়ের টনিক। তাই সিরিজ জেতার পর সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটা গেল তার হাতে।

তবে লিটন দাস এই সিরিজে যেমন খেলেছেন, তাতে তিনি ভেঙে দিয়েছেন একাধিক রেকর্ডও। তিনি ভেঙে দিয়েছেন সাকিব আল হাসানের রেকর্ড। এরপর তিনি ছুঁয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের আরও এক রেকর্ডও। 

অথচ আগের সিরিজেই ব্যাট হাসছিল না তার। এশিয়া কাপের আগে যা শঙ্কাও সৃষ্টি করেছিল। তবে তা এখন অতীত। তিন ম্যাচে ১৪৫ রান নিয়ে তিনি বনে গেছেন সিরিজ সেরা।

এই সিরিজ শুরুর আগে লিটন দাসের ফিফটি ছিল ১২টি। তবে প্রথম আর শেষ ম্যাচে ফিফটি করে সংখ্যাটাকে ১৪তে উন্নীত করেছেন তিনি। তাতে গড়া হয়ে গেছে একটি রেকর্ড। 

বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি ফিফটির রেকর্ড এখন তার দখলে। এই কীর্তি আগে ছিল সাকিব আল হাসানের দখলে। তার ফিফটির সংখ্যা ছিল ১৩টি। লিটন বুধবার তাকে ঠেলে দিয়েছেন তালিকার দুইয়ে। 

শেষ ম্যাচে লিটন হাঁকিয়েছেন ৪টি ছক্কা। তাতে তিনি আরও এক রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেন। বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ছক্কার কীর্তি এখন তারই। তার ছক্কার সংখ্যা এখন ৩১টি। সমান সংখ্যক ছক্কা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। 

বাংলাদেশ এই সিরিজ জিতেছে। সঙ্গে সঙ্গে আরও একটা রেকর্ডও লিটন গড়ে ফেলেছেন। বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে লিটন দাসের এটি টানা তৃতীয় সিরিজ জয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন কিছু আর কোনো অধিনায়কই দেখাতে পারেননি। 

যদিও লিটন বলছেন অন্য কথা। ম্যাচ শেষে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি কখনও রেকর্ডের জন্য খেলি না। যদি রেকর্ডের কথা চিন্তা করতাম... আমার অনেক ফিফটি মিস গিয়েছে অ্যাটাকিং ক্রিকেট খেলতে গিয়ে। যদি আমি রেকর্ডের কথা চিন্তা করতাম, ওই সময় হয়তো নিজেকে সময় দিয়ে রেকর্ড গড়ার চেষ্টা করতাম।’