
শারজায় গতকাল ত্রিদেশীয় সিরিজে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের জন্য শেষ ওভারে ১৭ রান দরকার ছিল আরব আমিরাতের। আফগান পেসার ফরিদ আহমেদ শেষ ওভারে ১২ রানে ১ উইকেট নিয়ে দলের ৪ রানের জয় নিশ্চিত করেন। আগে ব্যাটিং করে ৪ উইকেটে ১৭০ রান তুলেছিল আফগানিস্তান। তাড়া করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৬৬ রানে থামে আরব আমিরাতের ইনিংস। এ জয়ে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় দল হিসেবে এক ভেন্যুতে অন্তত ২০ ম্যাচ জিতল আফগানিস্তান।
প্রথম দলটি বাংলাদেশ। শুধু প্রথম নয়, টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে এক ভেন্যুতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের রেকর্ডও বাংলাদেশের।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ২৪টি টি–টোয়েন্টি জিতেছে বাংলাদেশ। আরব আমিরাতের শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তান জিতল ২০টি টি–টোয়েন্টি। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে এক ভেন্যুতে অন্তত ২০ ম্যাচ জিতেছে শুধু বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৭ জয়ে তিনে পাকিস্তান। চারেও পাকিস্তানই—লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ১৬ ম্যাচ জিতেছে তারা। জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে ১৪ জয় নিয়ে পাঁচে দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রথম আলো গ্রাফিকস
তবে আফগানিস্তান একটি জায়গায় আলাদা। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে প্রথম দল হিসেবে বিদেশের ভেন্যুতে ২০ ম্যাচ জিতল তারা।
শারজায় খেলা ২৯টি টি–টোয়েন্টির মধ্যে ৯টিতে হেরেছে আফগানিস্তান, জিতেছে ২০টি। ঘরের মাঠ শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ৪৮টি টি–টোয়েন্টি খেলে বাংলাদেশ জিতেছে ২৪ ম্যাচ, হেরেছেও ২৪ ম্যাচই। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পাকিস্তান ৩২টি টি–টোয়েন্টি খেলে ১৭ জয় পেয়েছে, হার ১৪টি, টাই হয়েছে ১ ম্যাচ। গাদ্দাফিতে ২৬ ম্যাচে ১৬ জয়ের পাশাপাশি ১০ ম্যাচ হেরেছে পাকিস্তান।
সব মিলিয়ে হিসাব করলে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে এক ভেন্যুতে সবচেয়ে বেশি জয়ের রেকর্ড উগান্ডার। রুয়ান্ডার গাহাঙ্গা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৩৯ ম্যাচে ৩৫ জয় পেয়েছে আফ্রিকার দলটি। ২ ম্যাচ হেরেছে ও ২টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।বাংলাদেশের অবস্থান এরপরই।
প্রথম আলো গ্রাফিকস
গাহাঙ্গা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই ৩৮ ম্যাচে ২২ জয় নিয়ে তিনে তানজানিয়া। ১৩ ম্যাচে হার ও ৩টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয় তানজানিয়ার। বালির উদয়ন ক্রিকেট মাঠে ৪৪ টি–টোয়েন্টিতে ২১ জয় নিয়ে চারে ইন্দোনেশিয়া। ২১ ম্যাচে হারের পাশাপাশি ১টি টাই এবং অন্য ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয় ইন্দোনেশিয়ার। পাঁচে আফগানিস্তান।