
গুলশানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী পারভেজ বেপারী হত্যা মামলায় অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানকে ৩ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামিউল ইসলাম অভিনেতাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছিলেন। অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২০ আগস্ট হত্যা মামলায় সিদ্দিকুরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল। এর আগে তিনি গত ২৯ এপ্রিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় হামলার শিকার হন এবং পরে তাকে রমনা থানায় সোপর্দ করা হয়। ওই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছিল, যেখানে তিনি ৭ দিনের রিমান্ডে ছিলেন। সেই রিমান্ড শেষে তিনি কারাগারে ছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলশানের সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে পারভেজ বেপারী গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত পারভেজের বাবা মো. সবুজ এই ঘটনায় গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশের রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, সিদ্দিকুর অত্যন্ত সুকৌশলে অর্থের যোগান দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতাকে নিবৃত্ত করার জন্য এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। এজাহারনামীয় ২২৩ নম্বর আসামি হিসেবে তার নেতৃত্বেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে তদন্তে জানা যায়। এই মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং জড়িত অন্যদের চিহ্নিত করার জন্য তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।
এই ঘটনায় দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে মনে করছেন, একজন জনপ্রিয় অভিনেতার বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ আসা দুঃখজনক। আবার অনেকে বলছেন, অপরাধী যে-ই হোক, তাকে আইনের আওতায় আনা উচিত।