
জুমার নামাজ শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের সামনে প্রচার চালান ছাত্রদল–সমর্থিত সহসভাপতি আবিদুল ইসলাম। ৫ আগস্ট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ছবি: প্রথম আলো
রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে একটি গোষ্ঠী অপপ্রচারে নেমেছে ও সাইবার বুলিং করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রদল–সমর্থিত সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম। বারবার নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়েও ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলেন তিনি।
আজ শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের সামনে আবিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। পরে তিনি ওই হলের শিক্ষার্থীদের মধে৵ প্রচার চালান।
আবিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা একটি সুন্দর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেই আশা রাখছি। কিন্তু শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যে জায়গাটাতে আমরা কনসার্ন জানিয়ে আসছি, সেটি হচ্ছে সাইবার বুলিং।’
প্রার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়া নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব উল্লেখ করে আবিদুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনের সময় সব প্রার্থী নির্বাচন কমিশনের অধীন থাকে। তাদের নিরাপত্তা দেওয়া কমিশনের দায়িত্ব। নির্বাচন কমিশনকে আমরা জানিয়েছি, যদি আপনারা এই সাইটগুলো বন্ধ করতে ব্যর্থ হন, তাহলে গোটা জাতিকে আপনারা সেটি জানান যে আসলে সেটি আপনারা পারছেন না। কারণ, ডাকসু নির্বাচন এখন আর শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয় নয়, গোটা বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার বিষয়। গোটা বাংলাদেশের স্বার্থ এখানে জড়িত।’
সাইবার বুলিং বন্ধ করতে রাষ্ট্রকেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সহযোগিতা করতে হবে বলে মনে করেন আবিদুল ইসলাম। অনলাইনে যে অপপ্রচার চলছে, সেই ব্যাপারে পুরো জাতিকে সতর্ক করতে হবে, বলেন তিনি।
ছাত্রদলের এই ভিপি প্রার্থী বলেন, ‘আমরা যখন প্রচারে যাচ্ছি, অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। এত দিন পরে এসে মনে হচ্ছে, আসলেই সঠিক ছাত্ররাজনীতির চর্চাটা করছি। শ্রদ্ধা, স্নেহ, সহনশীলতা, সহমর্মিতা ও জবাবদিহির আওতায় ছাত্ররাজনীতি করছি।’
আরও পড়ুন
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদারকে সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের জিএস প্রার্থী মাহিন সরকারের সমর্থন দেওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আবিদুল ইসলাম খান বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতিক্রিয়া জানার পর তাঁরা এটি নিয়ে মন্তব্য করবেন।