শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ক্যাসিনো–কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধান সিসা বার থেকে গ্রেপ্তার

প্রকাশ: শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর , ২০২৫
ক্যাসিনো–কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধান সিসা বার থেকে গ্রেপ্তার

ক্যাসিনো–কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শনিবার ভোররাত চারটার দিকে বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের অভিযানে সেলিম প্রধানসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৬ দশমিক ৭ কেজি সিসা জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৭টি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশের গুলশান অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) আল আমিন হোসাইন জানান, বারিধারার ১২ নম্বর সড়কের ৪৩ নম্বর বাড়িতে নেক্সাস ক্যাফে নামের একটি রেস্তোরাঁয় অবৈধ সিসা বার চালানো হচ্ছিল। সেলিম প্রধান ওই রেস্তোরাঁর মালিক বলে জানা গেছে।

এর আগে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাইল্যান্ডগামী বিমান থেকে নামিয়ে এনে সেলিম প্রধানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর তাঁর বাসা ও অফিসে অভিযান চালিয়ে দেশি-বিদেশি মুদ্রা ও বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ জব্দ করা হয়। তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলেছিল, সেলিম প্রধান বাংলাদেশে অনলাইন ক্যাসিনো বা অনলাইন জুয়ার মূল হোতা। তিনি প্রচুর টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় চার বছর সাজাও খেটেছেন।
আরও পড়ুন

ক্যাসিনো–কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধান সিসা বার থেকে গ্রেপ্তার

প্রকাশ: শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর , ২০২৫
ক্যাসিনো–কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধান সিসা বার থেকে গ্রেপ্তার

ক্যাসিনো–কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শনিবার ভোররাত চারটার দিকে বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের অভিযানে সেলিম প্রধানসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৬ দশমিক ৭ কেজি সিসা জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৭টি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশের গুলশান অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) আল আমিন হোসাইন জানান, বারিধারার ১২ নম্বর সড়কের ৪৩ নম্বর বাড়িতে নেক্সাস ক্যাফে নামের একটি রেস্তোরাঁয় অবৈধ সিসা বার চালানো হচ্ছিল। সেলিম প্রধান ওই রেস্তোরাঁর মালিক বলে জানা গেছে।

এর আগে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাইল্যান্ডগামী বিমান থেকে নামিয়ে এনে সেলিম প্রধানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর তাঁর বাসা ও অফিসে অভিযান চালিয়ে দেশি-বিদেশি মুদ্রা ও বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ জব্দ করা হয়। তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলেছিল, সেলিম প্রধান বাংলাদেশে অনলাইন ক্যাসিনো বা অনলাইন জুয়ার মূল হোতা। তিনি প্রচুর টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় চার বছর সাজাও খেটেছেন।
আরও পড়ুন

সাদাপাথর লুট’: এবার প্রকাশ্য অনুসন্ধানে দুদক

প্রকাশ: বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর , ২০২৫
সাদাপাথর লুট’: এবার প্রকাশ্য অনুসন্ধানে দুদক
সিলেটের পর্যটনকেন্দ্র ‘সাদা পাথরে’ এখন আর পাথর নেই। চোখের সামনে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে সেগুলো। এক বছর আগেও সেখানে বিছিয়ে ছিল পাথর। এখন ধূধূ মাঠ।

সিলেটের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র ভোলাগঞ্জের 'সাদাপাথর' এলাকা থেকে শত শত কোটি টাকার পাথর লুটের ঘটনায় এবার প্রকাশ্যে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযানের প্রাথমিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কমিশন এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দুদকের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, সাদাপাথর লুটের এই মহোৎসবে জড়িত রয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর আগে, গত আগস্ট মাসে দুদকের সিলেট কার্যালয়ের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ১৬ আগস্ট তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। সেই প্রতিবেদনে প্রায় ৫২ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের জড়িত থাকার তথ্য উঠে আসে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের জন্য প্রতি ট্রাক থেকে প্রশাসন ও পুলিশকে মোটা অঙ্কের কমিশন দেওয়া হতো। প্রতিটি ট্রাকের পাথর পরিবহনে পুলিশ ও প্রশাসনের জন্য ১০ হাজার টাকা করে আলাদা করা হতো। এর মধ্যে পুলিশ পেত পাঁচ হাজার টাকা এবং উপজেলা প্রশাসন পাঁচ হাজার টাকা। একই সঙ্গে, প্রতিটি বারকি নৌকা থেকে এক হাজার টাকা নেওয়া হতো, যার অর্ধেক পুলিশ ও বাকি অর্ধেক প্রশাসন পেত।

দুদক কর্মকর্তারা জানান, এই অনুসন্ধানটি মূলত দায়-দায়িত্ব নির্ধারণের জন্য করা হচ্ছে। যেসব নথিপত্র এবং তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে, তার ভিত্তিতে যাদের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হবে, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সাদাপাথর লুটের ঘটনায় ইতোমধ্যে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গাফিলতি ও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। এতে স্থানীয় প্রশাসনের অবহেলা, ব্যর্থতা এবং ক্ষেত্রবিশেষে সরাসরি যোগসাজশ থাকার বিষয়টিও দুদকের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এই ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে প্রশাসন ও পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও ব্যবসায়ীদের নামও এসেছে।

দুদকের এই প্রকাশ্য অনুসন্ধানকে অনেকেই দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। আশা করা হচ্ছে, এই তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

হারিয়ে যাওয়া ৫০টি মুঠোফোন উদ্ধার করে মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দিল পল্টন থানা–পুলিশ

প্রকাশ: বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর , ২০২৫
হারিয়ে যাওয়া ৫০টি মুঠোফোন উদ্ধার করে মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দিল পল্টন থানা–পুলিশ

 

হারিয়ে যাওয়া ৫০টি মুঠোফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পল্টন মডেল থানা।

মঙ্গলবার ডিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগের দিন সোমবার পল্টন থানার সম্মেলনকক্ষে মতিঝিল অঞ্চলের সহকারী কমিশনার (এসি) হুসাইন মুহাম্মাদ ফারাবী ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিরুল আমীনের উপস্থিতিতে মালিকদের হাতে মুঠোফোনগুলো তুলে দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভিন্ন সময়ে হারিয়ে যাওয়া মুঠোফোন উদ্ধারে থানা-পুলিশের একটি বিশেষ দল কাজ করে। গত ১ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সাধারণ ডায়েরির (জিডি) ভিত্তিতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এই ৫০টি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়। গত আট মাসে পল্টন থানার উদ্যোগে তিন শতাধিক মুঠোফোন উদ্ধার করে মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

 

খিলগাঁওয়ে ট্রাফিক পুলিশকে মারধরের অভিযোগে চিকিৎসক আটক

প্রকাশ: রোববার, ২৬ জানুয়ারি , ২০২৫
খিলগাঁওয়ে ট্রাফিক পুলিশকে মারধরের অভিযোগে চিকিৎসক আটক

রাজধানীর খিলগাঁও রেলক্রসিং এলাকায় গাড়ি ছাড়তে ‘দেরি হওয়া’কে কেন্দ্র করে ট্রাফিক পুলিশের দুই সদস্যকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। এ ঘটনায় তাঁকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত ট্রাফিক পুলিশের দুই সদস্য হলেন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রবিউল হাসান ও কনস্টেবল রবিউল ইসলাম। তাঁদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগ সূত্র জানায়, খিলগাঁও রেলক্রসিং এলাকায় স্বাভাবিক নিয়মে সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল। নিয়ম অনুযায়ী এক পাশ আটকে রেখে আরেক পাশের গাড়ি ছাড়া হচ্ছিল। ওই সময় একটি গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন চিকিৎসক আনোয়ার হোসেন। তিনি ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং অভিযোগ করতে থাকেন যে টাকা ছাড়া গাড়ি ছাড়া হয় না। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাঁর বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। যাওয়ার আগে তিনি ট্রাফিক সদস্যদের ‘দেখে নেবেন’ বলে হুমকি দেন। কিছুক্ষণ পর চিকিৎসক আনোয়ার হোসেন চার–পাঁচটি মোটরসাইকেলে ১০ থেকে ১২ জনকে নিয়ে ফিরে আসেন। তাঁদের সঙ্গে নিয়ে তিনি ট্রাফিক পুলিশের দুই সদস্যের ওপর হামলা চালান। কিল–ঘুষি ও লাথিতে আহত হন এএসআই রবিউল হাসান ও কনস্টেবল রবিউল ইসলাম।

মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার দেওয়ান জালাল উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, হামলাকারীরা প্রথমে কনস্টেবল রবিউলের গোপনাঙ্গে লাথি মারেন। এরপর তাঁকে ও এগিয়ে আসা এএসআই রবিউল হাসানকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশ বলছে, আটক চিকিৎসক বর্তমানে খিলগাঁও থানায় আছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে।

সিরাজগঞ্জে অটোরিকশার ধাক্কায় শিক্ষক নিহত, ৩ ঘণ্টা সড়কে বিক্ষোভ “ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।”

প্রকাশ: রোববার, ২৬ জানুয়ারি , ২০২৫
সিরাজগঞ্জে অটোরিকশার ধাক্কায় শিক্ষক নিহত, ৩ ঘণ্টা সড়কে বিক্ষোভ “ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।”

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় অটোরিকশার ধাক্কায় এক শিক্ষক নিহত হওয়ার প্রতিবাদে তিন ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।

বুধবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার সিরাজগঞ্জ-কাজিপুর সড়কের পিপুলবাড়িয়া বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে সদর থানার এস আই সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন।

নিহত ৫০ বছর বয়সী বেলাল হোসেন সদর উপজেলার ঘোড়াচরা গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক ছিলেন।

নিহতের লাশ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ লোকজন প্রায় তিন ঘণ্টা সিরাজগঞ্জ-কাজিপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়।

এতে সড়কের দুইপাশে বহু যানবাহন আটকা পড়ে। দুর্ভোগে পড়েন চালক ও যাত্রীরা।

এসআই সাইফুল বলেন, “পথচারী বেলাল হোসেন রাস্তা অতিক্রম করছিলেন। ওই সময় দ্রুতগামী একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।”

বিক্ষুব্ধ লোকজনকে বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর বেলা ১২টার দিক থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে বলে জানান তিনি।